ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

শিগগিরই দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ ফিরে পাচ্ছেন আবুল হোসেন

abul hoডেস্ক নিউজ:

সৈয়দ আবুল হোসেনপদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগে সমালোচিত সৈয়দ আবুল হোসেনকে মন্ত্রীত্ব থেকে শুরু করে সংসদ সদস্য পদ পর্যন্ত হারাতে হয়েছে। ওই অভিযোগে তাকে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পাদকের পদ থেকেও সরে দাঁড়াতে হয়েছিল। প্রায় পাঁচ বছর অভিযোগের দায় কাঁধে নিয়ে চলতে হয়েছে বিশিষ্ট এই রাজনীতিবিদ-ব্যবসায়ীকে। তবে কানাডার আদালতে পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগ খারিজ হয়ে যাওয়ায় ওই সময়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়া সৈয়দ আবুল হোসেন এবার সহানুভূতি পেতে শুরু করেছেন। শিগগিরই তাকে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পাদকের পদ ফিরিয়ে দিয়ে পুরস্কৃত করতে যাচ্ছেন দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারণী সূত্রগুলো এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দলের সম্পাদকমণ্ডলীর দুই জন সদস্য জানান, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জার্মান সফরে যাওয়ার আগেই দলের সিনিয়র কয়েকজন নেতাকে আন্তর্জাতিক সম্পাদকের পদ আবুল হোসেনকে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন।

এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের দুই জন নেতা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়নও পাচ্ছেন আবুল হোসেন। তাও ইতোমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে। পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি অভিযোগে তার কাছ থেকে একে-একে সব দায়িত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে। কানাডার আদালতের রায়ের পর ধীরে-ধীরে তাকে আবার দায়িত্ব দেওয়া হবে।’

সূত্র জানায়, ‘আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জার্মান সফর শেষে দেশে এলেই দলের আন্তর্জাতিক সম্পাদকের পদটিতে তাকে দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। সৈয়দ আবুল হোসেন দেশের বাইরে থাকায় এ ব্যাপারে তার কোনও প্রতিক্রিয়া জানা সম্ভব হয়নি।’

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কাকে কোন পদ দেওয়া হবে, তা একমাত্র দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার এখতিয়ার। সৈয়দ আবুল হোসেন আগেও আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এখন এ পদটি শূন্য রয়েছে, আবার দুর্নীতির অভিযোগ থেকে মুক্ত হয়েছেন সাবেক এই মন্ত্রী। তাই তাকে আবারও দায়িত্বে ফিরিয়ে আনতে পারেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা।’

২০১১-২০১২ সালে পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। তখন ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন। এক পর্যায়ে মন্ত্রীত্ব থেকে তাকে সরিয়ে দিতে দেশি-বিদেশি চাপ সৃষ্টি হয়। এমনকি দলীয় চাপও তৈরি হয়। ২০১২ সালে এসে তাকে প্রথমে সরিয়ে দেওয়া হয় মন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে। এরপর ওই বছরের ২৯ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সরিয়ে দেওয়া হয় দলের আন্তর্জাতিক সম্পাদকের দায়িত্ব থেকেও। এরপর অনেকটা লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যান সাবেক এই মন্ত্রী। ২০১৪ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদেও আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দেয়নি অভিযুক্ত এই নেতাকে। এর ফলে চার বছরেরও বেশি সময় রাজনীতি থেকে অনেক দূরে চলে যান এই নেতা।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সৈয়দ আবুল হোসেন আন্তর্জাতিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেতে পারেন এমন খবর আমিও জেনেছি। এর বেশি কিছু বলতে পারছি না।’

পাঠকের মতামত: